ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

জুমার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ উপহার

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৬ অগাস্ট, ২০২২ ০৯:১২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৫২ বার


জুমার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ উপহার

শুক্রবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন ‘জুমা’।ঈদুল ফিতর ও আজহার মতোই  এ দিনের মর্যাদা। মুসলমানদের কাছে দিনটি বিশেষ উপহার হিসেবে আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন। আল্লাহ প্রত্যেক জাতিকে সাপ্তাহিক একটা বিশেষ ইবাদত-বন্দেগির দিন উপহার দিয়েছেন। জুমার দিনকেও সাপ্তাহিক ইবাদাত-বন্দেগির দিন হিসেবে অনেক জাতিকেই দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা এ দিনের গুরুত্ব উপলব্দি করেনি এবং তা গ্রহণ করেনি। মুসলিম উম্মাহর সৌভাগ্য; নবিজি (সা.) পবিত্র এ দিনটি বিশেষ ইবাদত-বন্দেগির দিন হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

জুমার দিন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামাজ আদায় করতে একই কাতারে শামিল হয়। যার ফলশ্রুতিতে সবার মধ্যে গড়ে ওঠে ভ্রাতৃত্ববোধ। মুসলিম উম্মাহর জন্য নবিজি হজরত মুহাম্মাদুর (সা.) এ দিনকে আল্লাহ তাআলার দেওয়া সেরা উপহার সাপ্তাহিক ইবাদাত-বন্দেগির জন্য ঈদে দিন হিসেবে গ্রহণ করেছেন। 
যার সুস্পষ্ট বর্ণনা এসেছে হাদিসে—

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, আমরা পৃথিবীতে সর্বশেষ আগমণকারীরাই কেয়ামতের দিন অগ্রগামী থাকবো। পার্থক্য হলো, তাদেরকে (পূর্ববর্তীদেরকে) আমাদের আগে (আল্লাহর) কিতাব দান করা হয়েছে; আর আমাদেরকে (কিতাব) দেওয়া হয়েছে তাদের পরে। এরপর তাদের ওপর এ দিনটি অর্থাৎ জুমার দিনটি (ইবাদাতের জন্য) ফরজ করা হয়েছিল অর্থাৎ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা (আহলে কিতাবের অনুসারীরা) এ দিনটির ব্যাপারে মতভেদ করলো। আর আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করলেন, ফলে এ ব্যাপারে অন্যান্য লোকেরা আমাদের পিছনে থাকলো। ইহুদিগণ পরের দিন (শনিবার)কে এবং নাসারাগণ তার পরের দিন (রোববার)কে গ্রহণ করল। (বুখারি ও মুসলিম)

অন্য বর্ণনায় রাসুল (সা.) বলেছেন, দুনিয়াবাসীদের মধ্যে আমরাই সর্বশেষ আগমনকারী এবং কেয়ামতের দিন আমরাই হবো প্রথম। যাদের জন্য (হিসাব-কিতাব ও জান্নাতে প্রবেশের) আদেশ সমস্ত সৃষ্টির আগে দেওয়া হবে। (মুসলিম)

সুতরাং মুসলিম উম্মাহর জন্য নসিহত- জুমার দিন সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদিকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে মুসলমানগণ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে এটিকে ইবাদাত-বন্দেগির দিন হিসেবে পালন করে থাকে। মুমিন মুসলমান এ মহত্বের প্রতি দৃষ্টি রেখেই সাপ্তাহিক ইবাদাত-বন্দেগির অনুশীলনের জন্যই জুমার দিনটি উদযাপন করে থাকেন।

আল্লাহ তাআলা ইবাদাত-বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন এবং পরবর্তী জুমা পর্যন্ত নিজেদেরকে আল্লাহ বন্দেগিতে নিযুক্ত রাখতে নিজেকে তৈরি করার তাওফিক দান করুন। মুসলিম উম্মাহকে এ দিনের হক আদায়ে আজানের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত নামাজ আদায়ে মসজিদের দিকে ছুটে যাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।


   আরও সংবাদ