ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:১২ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৭৭ বার
বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া আজ। এ দিন থেকেই শুরু দেবীপক্ষের।
শ্রীশ্রী চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর এই ‘চন্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি। শারদীয় দুর্গাপূজার গুরুত্বপর্ণ একটি অনুষঙ্গ হলো এই মহালয়া। পুরাণমতে, এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এ দিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয় । মহালয়া মানেই প্রতীক্ষা মায়ের পুজার । আর এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয় ।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত আজ থেকেই পূজার্থীরা দুর্গাপূজার আগমনধ্বনি শুনা যাবে। দুর্গাপূজার এই সূচনার দিনটি সারা দেশে বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপিত হবে। আজ ভোর ৬টায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি।। দেশের অন্যান্য মন্দিরেও এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন। দেবী দুর্গার আগমনী উপলক্ষে দিনটি উদ্যাপন করতে ভোর সাড়ে পাঁচটায় বনানী মাঠে দেবীবরণের আয়োজন করেছে গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সভাপতিত্ব করবেন পান্না লাল দত্ত।
মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দূর্গা সমস্ত অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত । মহামায়া অসীম শক্তির উৎস । পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান । শিবের বর অনুযায়ী কোন মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না । ফলত আসীম হ্মমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতারিত করে এবং বিশ্ব ব্রক্ষ্মান্ডের অধীশ্বর হতে চায় ।
মহালয়ার আর একটি দিক হচ্ছে, এই মহালয়া তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপূরূষের স্মরন করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন । সনাতন ধর্ম অনুসারে, এই দিনে প্রয়াতদের আত্মা মর্ত্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রয়াতদের আত্মার এই সমাবেশকে মহালয়া বলা হয়। মহালয় থেকে মহালয়া। পিতৃপক্ষেরও শেষদিন এটি ।