ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৩০ বার
মুসলিমদের জন্য পবিত্র জুমার দিনটি সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনের ফজিলত সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। বেশি মর্যাদা ও তাৎপর্য
বিবেচনায় দিনটিকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৮৪)
মুসল্লিদের জুমার দিন সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু সুন্নাত রয়েছে। কিছু সুন্নাহ আদায় করতে হয়। আজ কিছু কাজ করা থেকে
ইসলাম বিরত থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে। সেগুলো বর্জন করাও একজন প্রকৃত মুসলমানের কাজ।
ইসলামের আলোকে জুমার দিনে বর্জনীয় কাজগুলো হলো-
১। জুমার পূর্বে মসজিদে জিকর বা কোনো শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান না করা। অর্থাৎ ভাগ ভাগ হয়ে, গোল গোল হয়ে না বসা, যদিও এটা কোনো
শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান হোক না কেন। (আবু দাউদ : ১০৮৯)
২। মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধুমপান না করা। (বুখারী : ৮৫৩)
৩। মুসল্লিদের ফাঁক করে মসজিদে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া। (বুখারী : ৯১০, ৮৮৩)
৪। মুসল্লিদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের কাতারে আগানোর চেষ্টা না করা। (আবু দাউদ : ৩৪৩, ৩৪৭)
৫। কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা। (বুখারী : ৯১১, মুসলিম : ২১৭৭, ২১৭৮)
৬। খুৎবার সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে তখনও দুই রাকাত ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ সালাত আদায় করা ছাড়া না বসা। (বুখারী : ৯৩০)
৭। কেউ কথা বললে ‘চুপ করুন’ এতটুকুও না বলা। (নাসায়ী : ৭১৪, বুখারী : ৯৩৪)
৮। খুৎবার সময় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা। (আবু দাউদ : ১১১০, ইবনে মাজাহ : ১১৩৪)
১০। একান্ত প্রয়োজন না থাকলে দুই পিলারে মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গায় সালাত আদায় না করা। (হাকেম : ১/১২৮)
১১। সালাতের জন্য কোনো জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা। (আবু দাউদ : ৮৬২)।
১২। কোনো নামাজির সামনে দিয়ে না হাঁটা। (বুখারী : ৫১০)
১৩। অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে এমন উচ্চ শব্দে কোনো কিছু না পড়া। (আবু দাউদ : ১৩৩২)
১৪। যেখানে জুমার ফরজ আদায় করেছে, উত্তম হলো একই স্থানে সুন্নাত না পড়া। অথবা কোনো কথা না বলে সেখান থেকে গিয়ে পরবর্তী
সুন্নাত সালাত আদায় করা। (মুসলিম : ৭১০, বুখারী : ৮৪৮)
মহান আল্লাহ আমাদের ইসলামের বিধানকে সঠিকভাবে মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন