ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ফজর নামাজে ১০ পুরস্কার

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ মে, ২০২৩ ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৫৯ বার


ফজর নামাজে ১০ পুরস্কার

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজরের নামাজ অন্যতম একটি ইবাদত। অন্য চার ওয়াক্তের চেয়ে ফজরের নামাজ অধিক গুরুত্বপূর্ণ। 

ফজর নামাজ আদায় করলে বহু সওয়াব ও পুরস্কারের কথা পবিত্র কোরআন ও হাদিসে উল্লেখ হয়েছে। নিম্নে ফজরের নামাজ পড়ার ১০টি পুরস্কারের কথা আলোচনা করা হলো—

আল্লাহর নিরাপত্তায় আবদ্ধ-
হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করল সে মহান আল্লাহর রক্ষণাবেক্ষণের অন্তর্ভুক্ত হলো। (মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৯)

সবকিছুর চেয়ে উত্তম-
হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও দুনিয়ার সবকিছুর চেয়ে উত্তম। (মুসলিম, হাদিস : ১৫৭৩)

উত্তম দিনযাপন-
ফজর নামাজ আদায়ের জাগতিক বহু উপকার রয়েছে। হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, তোমাদের কেউ ঘুমিয়ে পড়লে, শয়তান তার ঘাড়ের পেছনে তিনটি গিঁট দেয়। প্রতি গিঁটে সে এই কথা বলে, তোমার সামনে দীর্ঘ রাত অপেক্ষা করছে, অতএব তুমি শুয়ে থাকো। অতঃপর সে যদি জাগ্রত হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে একটি গিঁট খুলে যায়। অজু করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়। অতঃপর নামাজ আদায় করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়। তখন তার সকাল হয় উত্ফুল্ল চিত্তে ও প্রফুল্ল মনে। না হয়, সে সকালে কলুষ কালিমা ও আলস্য নিয়ে ওঠে। (বুখারি, হাদিস : ১১৪২)

অর্ধরাত ইবাদতের সওয়াব-
হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত (নফল) নামাজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করল, সে যেন সারারাত জেগে নামাজ আদায় করল। (মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৭)

জাহান্নাম থেকে মুক্তি-
হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, এমন কোনো ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে না, যে সূর্যোদয়ের ও সূর্যাস্তের আগের নামাজ আদায় করে। অর্থাৎ ফজর ও আসরের নামাজ। (মুসলিম, হাদিস : ১৩২২)

মুনাফিকির তালিকা থেকে বাদ-
হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, মুনাফিকদের জন্য ফজর ও এশার নামাজের চেয়ে অধিক ভারী কোনো নামাজ নেই। এ দুই নামাজের ফজিলত যদি তারা জানত, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে উপস্থিত হতো। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৭)

পূর্ণ নুরের সুসংবাদ-
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, রাতের অন্ধকারে মসজিদগুলোতে যাতায়াতকারীদের কিয়ামতের দিনের পরিপূর্ণ নুরের সুসংবাদ দাও। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৭৮১)

আল্লাহর সাক্ষাৎ-
জারির বিন আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, একবার হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। তিনি রাতে (পূর্ণিমার) চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলেন, ওই চাঁদকে তোমরা যেমন দেখছ, ঠিক তেমনি অচিরেই তোমাদের প্রতিপালককে তোমরা দেখতে পাবে। তাকে দেখতে তোমরা কোনো ভিড়ের সম্মুখীন হবে না। কাজেই সূর্যোদয়ের আগের ও সূর্যাস্তের আগের নামাজ আদায় করবে। (সুরা কাহফ, আয়াত : ৩৯)

ফেরেশতাদের সাক্ষাৎ-
হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ফেরেশতারা পালাবদল করে করে তোমাদের মাঝে আসেন, একদল দিনে আসে, আরেক দল আসে রাতে। আসর ও ফজরের নামাজে উভয় দল একত্রিত হন। অতঃপর তোমাদের মাঝে রাত যাপনকারী দলটি আসমানে চলে যান। তখন আল্লাহ তাদের জিজ্ঞেস করেন, আমার বান্দাদের কোন অবস্থায় রেখে এলে? অথচ তিনি তাদের ব্যাপারে সর্বাধিক অবগত। জবাবে তারা বলেন, আমরা তাদের নামাজে রেখে এসেছি। আর আমরা যখন তাদের কাছে গিয়েছিলাম, তখনও তারা নামাজরত ছিলেন। (বুখারি, হাদিস নং : ৫৫৫)

রিজিকে বরকত আসবে-
আল্লামা ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন, সকাল বেলার ঘুম ঘরে রিজিক আসতে বাঁধা দেয়। কেননা তখন রিজিক বণ্টন করা হয়।

আল্লাহ আমাদের নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন


   আরও সংবাদ