ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৫ জুন, ২০২৩ ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৪৬ বার
দেশের ৯০টি বেসরকারি হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। আগামী তিন দিনের মধ্যে এজেন্সিগুলোকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নির্দেশ দেওয়ার পরও হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু না করায় রোববার (৪ জুন) সন্ধ্যায় এসব এজেন্সিকে নোটিশ দেওয়া হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় এসব এজেন্সিকে শোকজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে হজ শাখা থেকে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, যেহেতু আপনারা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ পরিচালনাকারী এজেন্সির স্বত্বাধিকারী বা অংশীদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সেহেতু আপনারা হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১-এর (৯) ধারায় বর্ণিত নিবন্ধনের শর্তগুলো পালনে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ৩০ মে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে তিন দিনের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করেছিল কিন্তু হজ এজেন্সিগুলো হজযাত্রীদের ভিসা ইস্যু করেনি, যা সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় অসহযোগিতার শামিল।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এ ধরনের অব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে এবং সরকারের হজ ব্যবস্থাপনা-সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা উপেক্ষিত হয়েছে যা হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন ২০২১-এর পরিপন্থী। তাই আজ ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১-এর ১৩ ধারা অনুযায়ী কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার জবাব আগামী তিন দিনের মধ্যে এ মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে, গত ৩১ মে মন্ত্রণালয়ের আরেক চিঠিতেও এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানানো হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের ভিসা শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। তবে বেসরকারি এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজযাত্রীদের ভিসা করার হার ৫১ দশমিক ১ শতাংশ। ভিসার হার কম হওয়ায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, রাজকীয় সৌদি দূতাবাস ও হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে দ্রুত সময়ে হজযাত্রীদের জন্য ভিসা করতে বার বার তাগিদ দিয়েছে।