ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

জুমার দিন যেসব আমল করবেন

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ৯ জুন, ২০২৩ ১৩:২৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৭৪ বার


জুমার দিন যেসব আমল করবেন

বিশ্বের সব মুসলমানের জন্য ফজিলতপূর্ণ দিন হলো জুমাবার। পবিত্র এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দিনটি ঘিরে রয়েছে বিশেষ কিছু আমল, যা প্রত্যেক উম্মাহর জীবন বরকতময় ও আমলনামায় ভারী করবে। জেনে নেওয়া যাক বিশেষ আমল কী কী?

 

 

জুমার আগে ও পরে বিভিন্ন আমল রয়েছে। এ দিনের উল্লেখযোগ্য আমল হলো সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করা, যা জুমার আগে ও পরে পড়তে পারবেন। যারা সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবেন, কেয়ামতের দিন তাদের জন্য আকাশতুল্য নূর হবে। এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছে—

 

 

হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ পাঠ করবেন, তার জন্য এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত নূর হবে।

 

 

হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেতনা থেকে মুক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয়, তবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকেও মুক্ত থাকবে। অন্য রেওয়ায়েতে আছে, এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। তবে উল্লিখিত গুনাহ মাফ হওয়ার দ্বারা সগিরা গুনাহকেই বোঝানো হয়েছে। কারণ ওলামায়ে কেরামের ঐকমত্য যে, কবিরা গুনাহ তওবাহ করা ছাড়া মাফ হয় না।’

 

 

জুমার দিনের দ্বিতীয় বিশেষ আমল হলো বেশি বেশি দরুদ পড়া—

 

 

হজরত আওস ইবনে আওস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের সকল দিন অপেক্ষা জুমার দিনটিই হলো শ্রেষ্ঠ। এ দিন হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে।

 

 

এ দিনেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ দিনেই কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে এবং এ দিনেই দ্বিতীয়বারের মতো পুনরুজ্জীবিত করা হবে। এ দিন তোমরা আমার প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ কর।

 

 

তোমাদের দরুদ নিশ্চয় আমার কাছে উপস্থিত করা হবে। সাহাবারা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দরুদ আপনার কাছে কেমন করে উপস্থিত করা হবে, অথচ আপনি তখন মাটি হয়ে যাবেন?

 

 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে বললেন, আল্লাহতায়ালা নবীদের শরীর জমিনের জন্য হারাম করে দিয়েছেন। (আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, বাইহাকি)

 

 

যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর ৮০ বার এ দরুদ পড়বে, তার ৮০ বছরের গোনাহ্ মাফ হবে এবং ৮০ বছর ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে।

 

 

জুমআর দিনের বিশেষ তৃতীয় আমল হলো আসর থেকে মাগরিব নামাজে অতিবাহিত করা—

 

 

যাদুল মাআ`দ গ্রন্থে এসেছে, ‘এ মর্যাদাবান মুহূর্তটি হলো জুমার দিন আসরের নামাজ আদায়ের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত।’ এ মতের পক্ষে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণিত একটি হাদিসটি হলো—

 

 

জুমার দিন সূর্য উদয় হওয়ার পর মানুষ এবং জিন ব্যতীত প্রত্যেক প্রাণীই কেয়ামতের ভয়ে আতঙ্কিত থাকে। এ দিনে এমন একটি বরকতময় সময় আছে, যাতে মুসলিম বান্দা নামাজরত অবস্থায় আল্লাহর কাছে যা প্রার্থনা করবে, আল্লাহ্ তাকে তা দান করবেন।

 

 

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, সময়টি প্রত্যেক জুমাতেই রয়েছে। অতঃপর কা’ব বিন মালিক তাওরাত (কিতাব) খুলে পাঠ করলেন এবং বললেন, আল্লাহর রাসুল সত্য বলেছেন।

 

 

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, অতঃপর আমি (তাওরাত কিতাবের পারদর্শী) হজরত আব্দুল্লাহ বিন সালামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি এবং তাকে কা’ব বিন মালিকের সঙ্গে আমার বৈঠকের কথা জানাই। তখন তিনি (হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম) বললেন, আমি সেই সময়টি সম্পর্কেও অবগত আছি।

 

 

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু তার কাছ থেকে সেই সময়টি সম্পর্কে জানতে চান। তিনি বলেন, ‘এটি হচ্ছে জুমার দিনের শেষ মুহূর্ত।’


   আরও সংবাদ