ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ জুন, ২০২৩ ১৮:২৪ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৮৬ বার
পবিত্র হজের নিয়ম অনুযায়ী শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করছেন হাজিরা। মঙ্গলবার (২৭ জুন) আরাফাতের ময়দানে সারাদিন অবস্থান এবং রাতে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাত্রী যাপনের পর মক্কা নগরীর মিনায় আসেন তারা।
বুধবার (২৮ জুন) ভোর থেকেই প্রতীকী শয়তানের তিনটি স্তম্ভ লক্ষ্য করে ছোট ছোট পাথর নিক্ষেপ করা শুরু করেন হাজিরা।
সৌদি আরবের পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, এ বছর প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ মুসলিম হজ পালন করেছেন। যার বেশিরভাগই বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে এসেছেন।
যার মধ্যে বিদেশি ছিলেন ১৬ লাখ ৬০ হাজার ৯১৫ জন। সৌদির হাজি ছিলেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ১৩০ জন। হাজিদের মধ্যে পুরুষ ছিলেন ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯৪ জন। নারী ছিলেন ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৩৫১ জন।
এ বছর আরব বিশ্ব থেকে হজ করতে গেছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার ২১৪ জন। এশিয়ার দেশগুলো থেকে গেছেন ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৩১৭ জন। আফ্রিকার দেশগুলো থেকে গেছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৮৬৩ জন। অপরদিকে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চলের ৩৬ হাজার ৫২১ জন হাজি হজ করেছেন এ বছরে।
তবে চলতি বছরে করোনা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার কারণে হজে সর্বোচ্চ সংখ্যক হাজি উপস্থিত হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। যা হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হজ।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, তাদের প্রত্যাশা ছিল এ বছর ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ পবিত্র হজব্রত পালন করবেন। যা হবে নতুন ইতিহাস। কিন্তু সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
এদিকে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে শুরু হয় মুসলিমদের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে আজ ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।
ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী, সামর্থ্যবানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানি করছেন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) হাজিরা তাদের মাথা মুণ্ডন বা চুল কেটে ফেলবেন। এরপর তারা ফিরে যাবেন মক্কার কাবা শরীফে। সেখানে কাবা প্রদক্ষিণ শেষে আবারও শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন। এরপর আরেকবার কাবা প্রদক্ষিণ করবেন। যার মাধ্যমে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।