ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৭ অগাস্ট, ২০২৩ ১১:০১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৭৭ বার
দৈনন্দিন জীবনে আমলের গুরুত্ব অপরিসীম। শুধু ফরজ আমলগুলো অনেক সময় যথেষ্ট না হতে পারে। তাই নফল ও অন্যান্য আমল করা চাই। কারণ, হাদিসে এসেছে- বান্দার ফরজ আমলে ঘাটতি দেখা দিলে নফল দিয়ে তা পূর্ণ করা হবে। তবে কিছু আমল এমন আছে, যেগুলো করলে মহান আল্লাহ বান্দার সঙ্গে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। কেউ যদি সর্বাবস্থায় আল্লাহর সাহায্য চায় তাহলে তার উচিত সেই আমলগুলো খুব গুরুত্বসহকারে করা।
যেসব আমলে আল্লাহর থেকে সাহায্য আসে
নিম্নে পবিত্র কোরআনের আলোকে সেই আমলগুলোর কয়েকটি তুলে ধরা হলো— প্রকৃত মুমিন হওয়া : পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর মুমিন বান্দাদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা আনফাল, আয়াত : ১৯)
এখানে মূলত উদ্দেশ্য হলো খাঁটি ঈমানদার হওয়া।
যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ওপর অগাধ বিশ্বাস রাখে। কিয়ামতের দিনের ওপর বিশ্বাস রাখে। নামাজ কায়েম, রমজানের রোজা রাখে, জাকাত প্রদান করে, হজ আদায় করে। যারা অপর মুসলমানের ক্ষতি করে না।
সর্বাবস্থায় আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায় এবং তাঁর ওপরই ভরসা করে।
তাকওয়া ও দয়াশীলতা : তাকওয়া আল্লাহর সন্তুষ্টি ও গায়েবি মদদ পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের সঙ্গে আছেন, যারা তাকওয়া অবলম্বনকারী ও অনুগ্রহকারী।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ১২৮)
এর সারমর্ম এই যে, আল্লাহ তাআলার সাহায্য তাদের সঙ্গে থাকে, যারা দুটি গুণে গুণান্বিত।
তাকওয়া ও ইহসান। তাকওয়ার অর্থ হারাম কাজ পরিত্যাগ করা এবং ইহসানের অর্থ সৎকাজ করা। (ইবন কাসির)
আল্লাহর ওপর ভরসা করা : পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরি করে দেন এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।
আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।’ (সুরা তালাক, আয়াত : ২-৩)
যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরা : বান্দা যখন বিপদে ধৈর্য ধরে আর আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায়, তখন আল্লাহ তার বিপদ দূর করার দায়িত্ব নিয়ে নেন। তার জন্য বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৩)
ঈমানের দাওয়াত দেয়া : যারা মানুষের দারে দারে ঈমানের দাওয়াত নিয়ে যায়। মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করে আল্লাহ তাদের সঙ্গে থাকেন। আল্লাহ মুসা ও হারুন (আ.)-কে ফেরাউনের কাছে দ্বিনি দাওয়াত নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তাঁদের অভয় দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ভয় পেয় না, নিশ্চয়ই আমি (আল্লাহ) তোমাদের সঙ্গে আছি, আমি শুনি ও দেখি।’ (সুরা ত্বহা, আয়াত : ৪৬) অর্থাৎ মহান আল্লাহ তাদের সাহায্য করেন।
উল্লিখিত গুণাবলী অর্জন করতে পারলে আল্লাহর বিশেষ সাহায্য লাভ করা যায়। মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন