ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৯৩ বার
ইসলামে দান-সদকার গুরুত্ব অনেক। এ কারণে সম্পদ দান করতে ইসলাম উৎসাহিত করেছে। কিন্তু, দান করতে গিয়ে নিস্ব হাওয়াকে ইসলাম সমর্থন করে না। দান-সদকা মানুষকে বিপদাপদ থেকে মুক্তি দেয়। তবে, বিভিন্ন কারণে মানুষ দানের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ দান করতে বলেছেন। আল্লাহ বলেন, তারা কী ব্যয় করবে সে সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে। আপনি বলে দিন যা প্রয়োজনের অতিরিক্ত তা থেকে ব্যয় করবে, (সুরা বাকারা, আয়াত, ২১৯)।
এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ নফল দান-সদকা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থেকে করতে বলেছেন। তবে, পরিবার ও সন্তানদের কষ্ট দিয়ে দান করা উচিত নয়।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, উত্তম সদকা হলো যা দান করার পরেও মানুষ অমুখাপেক্ষী থাকে। নিশ্চই উপরের হাত নিচের হাতের চাইতে উত্তম। যাদের ভরণপোষণ তোমার জিম্মায় তাদের আগে দাও। কেননা স্ত্রী বলবে, হয় আমাকে খাবার দাও, নয়তো তালাক দাও। গোলাম বলবে, খাবার দাও এবং কাজ করাও। ছেলে বলবে, আমাকে খাবার দাও, আমাকে তুমি কার কাছে রেখে যাচ্ছ? (বুখারি-৪৯৬৪।
দান-সদকা মানুষকে বিপদাপদ থেকে মুক্তি দেয়। তবে, দান করে খোঁটা দেওয়া কিংবা মানুষকে দেখানোর জন্য দান করলে মানুষ দানের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে।
আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ, তোমরা খোঁটা ও কষ্ট দেওয়ার মাধ্যমে তোমাদের সদকা বাতিল করো না। ওই ব্যক্তির মতো হইও না, যে তার সম্পদ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ব্যয় করে এবং আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস করে না। (সুরা বাকারা, আয়াত, ২৬৪)
আল্লাহ আরও বলেন, যে দানের পর কষ্ট দেওয়া হয় তার চেয়ে ভালো কথা বলা ও ক্ষমা করা উত্তম। আল্লাহ অভাবমুক্ত ও পরম সহিষ্ণু। (সূরা বাকারা, আয়াত, ২৬৩)
দান-সদকা ও যেকোনো ইবাদত একনিষ্ঠ চিত্তে করা আবশ্যক। আল্লাহ বলেন, তারা আল্লাহর ইবাদত করবে খাঁটি মনে, একনিষ্ঠ আনুগত্যের মাধ্যমে। (সুরা বাইয়্যিনা আয়াত, ৫)।
অতএব, যে কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা হবে না তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয় এবং এতে সওয়াবও পাওয়া যাবে না।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) দানের সওয়াব নষ্ট হওয়ার কারণ হিসেবে খোঁটা দেওয়াকে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেন, খোঁটাদানকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
পবিত্র কোরআনের অন্য একটি আয়াতে আল্লাহ বলেন, আর তারা আল্লাহর প্রতি তাদের ভালোবাসার কারণে মিসকীন, ইয়াতিম ও কয়েদীকে খাবার খাওয়ায়। তারা বলে, শুধু আল্লাহর সস্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদেরকে খাবার দান করি, আমরা তোমাদের কাছ থেকে প্রতিদান চাই না, কৃতজ্ঞতাও চাইনা। (সুরা দাহর- ৭৬)
আল্লাহ আমাদের প্রত্যেককে সঠিক পন্থায় দান করার তাওফিক দিন। আমিন।