ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:১৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৯ বার
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দুই দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। মালয়েশিয়ায় এই ঐতিহাসিক চুক্তির সাক্ষী ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রোববার (২৬ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে চুক্তিতে সই করেন ট্রাম্প, থাই প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও। খবর এএফপির।
সূত্র জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চলমান এশিয়া সফরের প্রথম দিনেই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনা এবং সংঘাতের পর এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগে রোববার সকালে ট্রাম্প তার এশিয়া সফর শুরু করেন মালয়েশিয়ায় পৌঁছে। দেশটিতে তিনি আসিয়ান সম্মেলনে অংশ নেবেন। এরপর সফরের পরবর্তী ধাপে তিনি যাবেন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফরের সবচেয়ে আলোচিত অধ্যায় হতে যাচ্ছে ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠক। দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের অবসান ঘটাতে ওই বৈঠকে নতুন একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওয়াশিংটন ছাড়ার আগে বিমানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, তিনি আশাবাদী— চীন এমন একটি নতুন চুক্তিতে রাজি হবে, যাতে করে আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ঠেকানো সম্ভব হয়।
এছাড়া উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গেও সাক্ষাতের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। ২০১৯ সালের পর এটিই হতে পারে দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
মালয়েশিয়া সফর শেষে সোমবার ট্রাম্প পৌঁছাবেন জাপানে। মঙ্গলবার তিনি জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাকাইচিকে ‘চমৎকার একজন নেতা’ বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তাকাইচি নিহত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ অনুসারী। ফলে বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র-জাপান সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।
শনিবার ফোনালাপে তাকাইচি ট্রাম্পকে জানিয়েছেন, তার সরকারের প্রধান কূটনৈতিক অগ্রাধিকার হলো ওয়াশিংটনের সঙ্গে জোট আরও দৃঢ় করা।
এরপর বুধবার ট্রাম্প যাবেন দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরনগরী বুসানে। সেখানে তিনি অংশ নেবেন এপেক সম্মেলনে, পাশাপাশি বৈঠক করবেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে।
সবশেষে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে হবে বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক। এটি হবে ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফেরার পর দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। বৈঠকে বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনের সম্ভাবনা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ইতোমধ্যে তীব্র আগ্রহ দেখা দিয়েছে।