ঢাকা, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

১৫ বছর ধরে অচল ভূকম্পন রেকর্ড যন্ত্র

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২২ নভেম্বর, ২০২৫ ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১১ বার


১৫ বছর ধরে অচল ভূকম্পন রেকর্ড যন্ত্র

দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিকম্প পরিমাপের একমাত্র স্থায়ী সিসমোগ্রাফ যন্ত্রটি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অচল রয়েছে। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত এই যন্ত্রটি নিষ্ক্রিয় থাকায় সাম্প্রতিক ভূমিকম্পসহ কোনো কম্পনের মাত্রা পরিমাপ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে উপকূলীয় অঞ্চলের সাড়ে চার কোটিরও বেশি মানুষ। দ্রুত নতুন প্রযুক্তির সিসমোগ্রাফ স্থাপনের জন্য সরকারের জরুরি উদ্যোগ গ্রহণের দাবি করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ এবং দেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ২০১০ সালে পবিপ্রবি ক্যাম্পাসে এই সিসমোগ্রাফ স্থাপন করা হয়। প্রকল্পের পক্ষে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার।

স্থাপনের প্রথম বছর মাত্র দুটি ভূমিকম্প রেকর্ড করা সম্ভব হলেও ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসেই যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দেয়। পরে একাডেমিক ভবনের চেম্বারের সঙ্গে নতুন করে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে আবার চালু করা হয়। কিন্তু এক বছরের মাথায় আবারও যন্ত্রটি বন্ধ হয়ে যায় এবং এরপর আর কখনো চালু হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিসমোগ্রাফ যন্ত্রের মাধ্যমে ভূ-কম্পনের প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি ওয়েভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং সার্ফেস ওয়েভের আগে কয়েক সেকেন্ডের সতর্কবার্তা পাওয়া যায়। এই সতর্কতা আগেভাগে জনগণকে সতর্ক করতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া যন্ত্রের মাটির নিচে থাকা প্লেটের মাধ্যমে ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি বা নিম্নগমনও পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। কিন্তু দীর্ঘদিন যন্ত্র অকেজো থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ ভূপ্রকৃতি সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

পবিপ্রবির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনীবুর রহমান বর্তমানে শিক্ষা ছুটিতে জার্মানিতে রয়েছেন। বিভাগের আরেক শিক্ষক প্রফেসর ড. এস এম তাওহীদুল ইসলাম বলেন, যন্ত্রটি খুবই পুরনো অ্যানালগ প্রযুক্তির। বিশ্বজুড়ে এখন ডিজিটাল সিসমোগ্রাফ ব্যবহৃত হচ্ছে। এই যন্ত্র কতটা কার্যকর হবে তা সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্তৃপক্ষই ভালো জানেন।

পবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, যন্ত্রটি বহু বছর ধরেই অকেজো। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে এটি আর সচল করা সম্ভব নয়। আমাদের ইএসডিএম বিভাগের মাধ্যমে নতুন একটি প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন করা হচ্ছে। প্রকল্প চূড়ান্ত হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।


   আরও সংবাদ