ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৮ জুলাই, ২০২৫ ১০:০৭ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১১৪ বার
জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার স্বনামধন্য ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ধরঞ্জী কুতুবিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অন্যান্য এ প্লাস প্রাপ্ত মেধাবী পরীক্ষার্থীর মধ্য হইতে একজন দরিদ্র পিতার পরীক্ষার্থীনি মোছাঃ মারুফা আক্তার মায়া জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার নন্দইল গ্রামের মোঃ মুরশিদুল ইসলামের কন্যা। তিনি সফলতার সহিত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ২০২৫ সালের এসএসসি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এ প্লাসে উত্তীর্ণ হন।
তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি যে এ প্লাস প্রাপ্ত একজন পরীক্ষার্থী অর্থ অভাবে ভালো কলেজে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোছাঃ মারুফা আক্তার মায়া নামের একজন এ প্লাস প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীর বাবা পেশায় একজন ভ্যানচালক, তার পরিবারের পাঁচ জন সদস্য , একজন ব্যক্তির উপর তার সংসার নির্ভরশীল, সারাদিন ভ্যান চালিয়ে যা ইনকাম হয় তা দিয়ে তার সংসার কোন রকম ভাবে চালিয়ে নেন, কিন্তু মেয়ের লেখাপড়া এবং অসুস্থতার কারণে তার সংসারে বড় ধরনের একটা ঋণ হয়ে যায়, বর্তমানে সেই ঋণের টাকা শোধ দেওয়া এবং সংসার পরিচালনা করা এবং মেয়ের লেখাপড়া করানো কোনভাবেই সম্ভব নয়।
তাই দরিদ্র ভ্যানচালক বাবার সিদ্ধান্ত বাঁচতে গেলে মৌলিক চাহিদা এবং ঋণ পরিশোধ করতেই হবে, মেয়ের লেখাপড়া ছাড়াও আমরা বাঁচতে পারব, তাই মেয়ের লেখাপড়া করানো সম্ভব নয়।
মেয়ের স্বপ্ন আমি যদি লেখাপড়া করার সুযোগ পায় তাহলে আমি ডাক্তার হয়ে জনগণের সেবা করতে চাই।
গ্রামবাসী মোঃ গোলাম মোস্তফা পিতা জবির উদ্দিন মন্ডল গ্রাম নন্দইল, বলেন আমাদের গ্রামের মেধাবী মেয়ে মোছাঃ মারুফা আক্তার মায়ার পিতা একজন হতদরিদ্র ভ্যানচালক তাদের সংসারে সর্বদাই অভাব লেগেই থাকে।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ সামসুল আলম বলেন আমাদের স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থী মোছাঃ মারুফা আক্তার মায়া অর্থ অভাবে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে এবং আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ তার সমস্যাগুলোর সমাধান করিয়েছিলাম।
সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন মেয়েটি খুব কষ্ট করে লেখাপড়া চালিয়েছে তার আমি সাফল্য কামনা করি।