ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১ অগাস্ট, ২০২৫ ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ২০৪ বার
ছাইদুল ইসলাম, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তে ১০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুশ ইন করার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর। এঁদের মধ্যে দুইজন যুবক ও ৮ জন মহিলা। তবে এবিষয়ে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের (১৪ বিজিবি) পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
ধামইরহাট থানা সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতরা নড়াইলের লোহা গ্রামের মাধব হাট এলাকার আব্দুল হাইয়ের মেয়ে আছমা বেগম (৪০), নড়াইলের দলসেতপুর গ্রামের মোকাম্মেল শেখের মেয়ে মুর্শিদা বেগম (৩৪), কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার কালিপুর গ্রামের রইস মিয়ার মেয়ে পাখি বেগম (২৪), মানিক মিয়ার মেয়ে রুমা বেগম (২৫), পটুয়াখালীর বরিশাল গ্রামের দশ পিনা এলাকার নবী হোসেনের মেয়ে কাকলি আক্তার (২৭)।
এছাড়াও ঢাকার মাওতাল যাত্রাবাড়ী এলাকার আব্দুল মান্নান শেখের মেয়ে রুজিনা আক্তার (৩৩), আব্দুল মান্নান সরকারের মেয়ে কোহিনুর বেগম (২৬), মোহাম্মদ শেখের মেয়ে নাসরিন বেগম (৩৩, যশোরের সোনাপুর গ্রামের আব্দুল ডালিমের ছেলে সুমন হোসেন (২৭) এবং দিনাজপুরের দক্ষিণ সাদিপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬)।
আগ্রাদ্বীগুন বিওপির নায়েক সুবেদার জিহাদ এ বিষয়ে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়া আমরা কিছুই বলতে পারবোনা। তবে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান।
ওসি ইমাম জাফর বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভারতীয় সীমান্ত থেকে এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আগ্রাদ্বীগুন ইউনিয়নের মহেষপুর নামক এলাকায় বাংলাদেশী (এদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ৮ জন মহিলা) ১০ নাগরিককে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে বিজিবির সদস্যরা। পরবর্তীতে তাদেরকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে উপজেলা প্রশাসন। আত্মীয়স্বজনকে পাওয়া গেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যদি পরিবারের সদস্যদের না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে আদালতের মধ্য দিয়ে আটককৃতদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোছা. জেসমিন আক্তার বলেন, আপাতত তাঁদেরকে থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা আমরা করব। তবে থানা আটককৃতদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে কোর্টের মাধ্যমে নাকি অন্য কোন পদ্ধতিতে ব্যবস্থা নেবে এ বিষয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করা হবে।’