ঢাকা, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ভূমি অফিস রাশিদুল হক এর দুর্নীতিতে দিশেহারা সাইদুর রহমান

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ৪ অগাস্ট, ২০২৫ ১০:০১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১১৪ বার


ভূমি অফিস রাশিদুল হক এর দুর্নীতিতে দিশেহারা  সাইদুর রহমান

পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর পোরশা উপজেলা ২নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের রনাইল মৌজার দখলিও ভিপি সম্পত্তিতে আম পাড়তে গেলে নিতপুর ভূমি অফিস তোহশীলদারের লেলিয়ে দেয়া লোক ছুরি ধরিয়ে আম কেড়ে নেয় ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা  করেন ,জানের ভয়ে বাকি টাকা পরে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে নগদ বিশ হাজার টাকা দেন এক কৃষক ।

রনাইল গ্রামের নসিরুদ্দিন দেওনের জামাই আলহাজ্ব সাইদুর রহমান জানান, গত কুরবানি  ঈদের নামাজ ও কুরবানী শেষে বিকালে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের রনাইল মৌজার ৪৩ ও ৬৩ খতিয়ান ভুক্ত ভি পি মূলে দখল কৃত জমির বাগান থেকে আম পাড়তে যাই। খবর পেয়ে তহশীলদার গ্রামের রেজাউল করিম, আফজাল হোসেন সহ আরও কয়েকজনকে দিয়ে আম আটক করেন। তারা স্থানীয় অস্ত্র দিয়ে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আমি কেন আম পেড়েছি হুমকি ধমক দিয়ে নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে এবং কিছু আম বিক্রি করতে গেলে রাশিদুল হক তহশীলদার মোবাইল ফোনে আম না কেনার জন্য নিষেধ করেন আড়ং দারকে।
কয়েক দিন পরে নিতপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে তার সাথে এ জমি দখল বিষয়ে পরামর্শ চাই। তিনি খাষ জমি বলে আখ্যায়িত করে মামলা করার হুমকি দিয়ে ডিসি স্যার কে ১০ ক্যারেট আম দিতে হবে এবং আমাকে  ১০হাজার টাকা দিতে হবে। তবে জমি দখল পাবেন। তাতে রাজি হয়ে টাকা ও আম দেয়ার পর বাড়ি আসি।
কয়েক দিন পর তহশীলদার আমার বিরুদ্ধে থানায় ঐ জমি লিজ গ্রহিতা জুয়েলকে দিয়ে অভিযোগ দায়ের করান।
ধার্য দিনে থানায় উপস্থিত হয়ে বাতবিন্ডায় জানা যায় ভিপি সম্পত্তি পূর্বে দখলদারের দখলে থাকবে।
এ বিষয়ে গত উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ আদনান স্যার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন খাষ জমি কেউ খেতে পারবে না কিন্তু ভিপি সম্পত্তি পূর্বে যার দখল আছে বর্তমানে তিনি দখলে থাকবে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাবিলা ফেরদৌস কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, যেহেতু তিনি পূর্বের দখল ছিল কাগজপত্র আছে সেহেতু তিনি জমিটা পাবেন। এবং তৌহশিলদারের দুর্নীতির কথা জানতে চাইলে , তিনি বলেন এটা কার ব্যাপার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিতপুর ভূমি অফিসে এই তৌশীলদার যোগদানের পর থেকেই তিনি সীমাহীন অনিয়ম খাস জমি দখল দেওয়ার কথা বলে ঘুষ নেয়া সহ বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন ।টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না ।এখানে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে অনেক ক্ষেত্রে ঘুষ দেওয়ার পরও কাজ হয় না ।সেবা গ্রহীতার কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করতে নানা কৌশল অবলম্বন করেন তিনি। যেমন খাজনা নামজারি, খারিজ এবং খাস ও ভিপি জমি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে চরম ভোগান্তিতে ফেলেন সাধারণ মানুষকে।
 


   আরও সংবাদ