ঢাকা, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

আন্ডারপাস নির্মাণে ধীরগতি

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:০৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৩২ বার


আন্ডারপাস নির্মাণে ধীরগতি

কমলাপুর-মুগদা সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ পথযাত্রী। দুই বছর ধরে ওই সড়কটিতে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ আন্ডারপাস নির্মাণের কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়নি। প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এটি চালু হতে আরও অন্তত একমাস সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কমলাপুর আন্ডারপাস নির্মাণে বিলম্বের পেছনে রয়েছে একাধিক জটিলতা। প্রথমত, প্রকল্পের চীনা ঠিকাদারের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের সমস্যায় কাজ কয়েকবার বন্ধ ছিল। এ ছাড়া, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির লাইন স্থানান্তরের মতো কাজগুলোও বাড়তি সময় নিয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। আন্ডারপাসের অন্যতম প্রধান কাজ, অ্যাসফল্ট (পিচ) ঢালাইয়ের জন্য টানা ১০-১২ দিনের শুষ্ক আবহাওয়া প্রয়োজন। বারবার বৃষ্টির কারণে এ কাজটি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় প্রকল্পের সময় আরও বেড়েছে। তারা আরও বলেন, আধুনিক নকশা ও স্বয়ংক্রিয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকছে এ আন্ডারপাসে। এখানে যানবাহন চলাচলের সুবিধার জন্য মোটর ও নন-মোটর যানের জন্য আলাদা লেন তৈরি করা হয়েছে। রিকশা ও সাইকেলের মতো ধীর গতির যানবাহনের জন্য ঢাল পৃথক পথ নির্মাণ করা হয়েছে। পথচারীদের জন্য থাকছে প্রশস্ত ফুটপাথ। এ আন্ডারপাসের একটি বিশেষ দিক হলো-এর অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা। আন্ডারপাসের দুই পাশে ড্রেন রয়েছে যা বাইরের পানিকে ভেতরে প্রবেশ করতে বাধা দেয় এবং ভেতরের পানি দ্রুত নিষ্কাশন করে। পানি নিষ্কাশনের জন্য ৪৭৫ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি স্বয়ংক্রিয় পাম্প বসানো হয়েছে। এতে করে পানির স্তর একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছলে পাম্পগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাবে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ব্যবসায়ী টিপু সুলতান সরকার যুগান্তরকে বলেন, কমলাপুর আন্ডারপাস নির্মাণ হলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমবে, কিন্তু নির্মাণকালীন বিকল্প রাস্তা না থাকায় দুই বছর ধরে মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ওই সড়কটি বন্ধ থাকার কারণে মতিঝিলগামী মানুষকে অতীশ দীপঙ্কর সড়ক হয়ে খিলগাঁও এবং মানিকনগর- গোপীবাগ সড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে প্রতিদিন মুগদা, মানিকনগর, মতিঝিল ও ফকিরাপুল সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকছে। কমলাপুর আন্ডারপাস প্রকল্প পরিচালক নাজনীন আরা কেয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মোবাইলে ফোন ও এসএমএস পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।

 

 


   আরও সংবাদ