ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ ১১:২৭ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫১ বার
সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহার উপজেলার চন্দুরা কবরস্থানের ৬টি তালগাছ কেটেফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর চন্দুরা কবরস্থানের ক্যাশিয়ার মোঃ মাহাবুবার রহমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ৮জন ব্যক্তিকে বিবাদী উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, সাপাহার উপজেলাধীন চন্দুরা/১৪৯ মৌজাস্থ আরএস খতিয়ান নং-০১, হাল দাগ নং-৬১৩ এর ১ একর ৪৭ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে চন্দুরা গ্রামবাসীদের কবরস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গত ২৭ অক্টোবর আনুমানিক সকাল ১১টায় বিবাদীগন পরস্পর যোগসাজশে উক্ত কবরস্থানে অনধিকার প্রবেশ করে জোরপূর্বক ৬টি তালগাছ কেটে ফেলে। এতে প্রায় ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
গ্রামবাসীরা বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা মারমুখী আচরণ করে এবং প্রশাসনকে তোয়াক্কা করেনা বলেও জানায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে মোঃ আব্দুল গফুর, মোঃ আব্দুস সালাম এবং মোঃ আলমগীরসহ স্থানীয় বহু লোকজনের নাম অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে প্রতিপক্ষের দাবি তারা কবরস্থানের জমির গাছ নয় নিজ পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমির গাছ কর্তন করেছেন।
অভিযোগকারী মোঃ মাহাবুবার রহমান জানান, এই কবরস্থান প্রায় ২০০ শত বছরের পুরোনো কবরস্থান। আমাদের গ্রামবাসী মারা গেলে আমরা এখনো সেখানেই তাদের কবরস্থ করে আসছি। অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময়ে অন্যায়ভাবে উক্ত সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে জোরপূর্বক তালগাছ কর্তন ও বেদখল করার হুমকি দিয়ে আসছিল। ২৭ অক্টোবর তারা গাছগুলো কর্তন করেছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন।
প্রতিপক্ষের রফিকুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা জানান, ওই জমির দাগ একই হলেও ভিন্ন খতিয়ান অর্থাৎ ২৩৬ নং খতিয়ানে আমরা একই দাগে ১৭ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়েছি। উক্ত সম্পত্তি আমাদের বাবা দাদার আমল থেকে ভোগদখলে আছি। সেই সম্পত্তি আবারো নতুন করে মাপযোগ করে আমাদের জমির সীমানার ভিতর থেকে আমাদের প্রয়োজনে আমরা ৬ টি তাল গাছ কেটেছি।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সেলিম আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে এখনো আমি কিছুই জানিনা। তবে শুধু কবরস্থান নয়, সরকারি কোনো সম্পত্তির গাছ কাটতে দেওয়া হবেনা। যদি কেউ সরকারি সম্পত্তির গাছ কেটে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।