আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৪ বার
তিন দশকেরও বেশি সময় পর যুক্তরাষ্ট্রে আবারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া ও চীনের পারমাণবিক কর্মসূচির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদেরও সমানভাবে সক্ষম থাকতে হবে। খবর বিবিসির
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের ঠিক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, অন্য দেশগুলোর পরীক্ষামূলক কর্মসূচির কারণে আমি প্রতিরক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি, তারা যেন আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষাও সমানভাবে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের সময়ম ১৯৯২ সালে। এরপর শীতল যুদ্ধের অবসান ঘটলে দেশটি পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার নীতি অনুসরণ করে আসছে। কিন্তু পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে ট্রাম্পের নির্দেশ এই দীর্ঘ নীতিতে নাটকীয় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে।
ট্রাম্প তার স্যোশাল মিডিয়ায় আরও লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বর্তমানে বিশ্বের সর্বাধিক পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। রাশিয়া দ্বিতীয় স্থানে এবং চীন অদূরে তৃতীয়। তবে তার দাবি, চীনের পারমাণবিক কর্মসূচি আরও ৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।
নিজের পোস্টে ট্রাম্প পারমাণবিক অস্ত্রের ‘অপরিসীম ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা’ স্বীকার করলেও দাবি করেন, আমার হাতে কোনো বিকল্প ছিল না। আমার প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রভান্ডার আধুনিকায়ন ও সংস্কার করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।
তবে তিনি কবে এবং কোথায় পরীক্ষা শুরু হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি। তবে ওই পোস্টে শুধু লিখেছেন, ‘প্রক্রিয়াটি অবিলম্বে শুরু হবে।’
ট্রাম্পের এ ঘোষণা এমন এক সময় এলো, যখন মার্কিন-রুশ ‘নিউ স্ট্র্যাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটি (নিউ স্টার্ট)’ চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে আর মাত্র ১০০ দিন বাকি। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে থাকা শেষ অস্ত্রনিয়ন্ত্রণ এ চুক্তি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে।
এই চুক্তি অনুযায়ী, উভয় দেশকে সর্বোচ্চ ১৫৫০টি আন্তঃমহাদেশীয় ওয়ারহেড মোতায়েনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।