ঢাকা, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

মেসির হাতে মায়ামি শহরের চাবি

স্পোর্টস ডেস্ক


প্রকাশ: ৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৩ বার


মেসির হাতে মায়ামি শহরের চাবি

যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি শহরের মেয়র ফ্রান্সিস সুয়ারেজের হাত থেকে শহরের প্রতীকী চাবি পেলেন লিওনেল মেসি। বুধবার রাতে কেসিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত আমেরিকা বিজনেস ফোরাম-এ বক্তব্য রাখার পরই আয়োজিত এক সংবর্ধনায় মেসিকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

সুয়ারেজ বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরেই এই চাবিটা আপনাকে দিতে চেয়েছিলাম, আপনার ফুটবল ও মানবিক অবদানের জন্য, আমাদের মহান শহর, দেশ এবং ফুটবল বিশ্বের প্রতি যা কিছু আপনি করেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ।’

২০২৩ সালের ১৫ জুলাই ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। অভিষেকের কয়েকদিনের মধ্যেই ক্লাবটিকে প্রথম ট্রফি এনে দেন, লিগস কাপ জয়ে নেতৃত্ব দিয়ে। পরের বছর ২০২৪ মৌসুমে ইন্টার মায়ামিকে সাপোর্টার্স শিল্ড জিতিয়ে এবং একক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি পয়েন্টের রেকর্ড গড়ে দেন তিনি।

ক্লাবের সহ-মালিক হোর্হে মাস বলেন, ‘আমাদের অধিনায়ক, আমাদের নাম্বার টেনকে নিয়ে কিছু বলতে চাই। এটা শহরের ছোট্ট একটি উপহার, যা আমাদের সবার হৃদয় জয় করেছে। এটি শুধু আপনার জন্য নয়, আন্তোনেলা (মেসির স্ত্রী) এবং আপনার সুন্দর পরিবারের জন্যও; যাতে আপনারা সবসময় নিজেদের ঘরের মতো অনুভব করতে পারেন।’

ব্যক্তিগতভাবে মেসি ২০২৪ সালের এমএলএস এমভিপি ও ২০২৫ সালের গোল্ডেন বুট জয় করেছেন এবং এবারও এমভিপি পুরস্কারের চূড়ান্ত তালিকায় আছেন।

মেসির বর্তমান চুক্তি ২০২৫ মৌসুম শেষে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, ৩৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন তারকা সম্প্রতি আরও তিন বছরের নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, অর্থাৎ তিনি ২০২৮ এমএলএস মৌসুম পর্যন্ত সাউথ ফ্লোরিডায় থাকবেন।

মেসি বলেন, ‘আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি। আমরা এই শহরে নিজেকে ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতায় ঘেরা অনুভব করি। এখানে থাকা আমাদের জন্য আনন্দের, আর এই সম্মান আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার।’

মেসি আবারও স্মরণ করলেন বার্সেলোনা থেকে বিচ্ছেদ ও প্যারিসে কঠিন অভিযোজনের দিনগুলো। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, প্রথমবার প্যারিসে যাওয়া খুব কঠিন ছিল। কারণ আমরা সারাজীবন বার্সেলোনাতেই ছিলাম; পরিবার, সন্তান, সব কিছুই সেখানে। আমি তো ১৩ বছর বয়সে সেখানে গিয়েছিলাম। কল্পনা করুন, আমার পুরো জীবনটাই ওখানে কেটেছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘ফুটবলের দিক থেকে তখন আমি ভালো সময় পার করছিলাম না। অনেক কারণে আমি খেলাটা উপভোগ করতে পারছিলাম না; সবকিছু ছিল একেবারে নতুন, অপরিচিত।’

দুই মৌসুম পিএসজিতে কাটিয়ে ২০২৩ সালে চমক দিয়ে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন তিনি।

মেসির ভাষায়, ‘এটা ছিল পারিবারিক সিদ্ধান্ত। আমরা ভেবেছিলাম, কোথায় থাকতে চাই সেটা নিজেরা ঠিক করতে পারলে জীবনটা অনেক সহজ হয়। মায়ামিতে আসার পর সবকিছুই ছিল দারুণ; শহরটা অসাধারণ, মানুষজনের ভালোবাসা প্রথম দিন থেকেই অবিশ্বাস্য।’

বুধবারই ইন্টার মায়ামি ঘোষণা দিয়েছে, শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে তাদের নতুন স্টেডিয়ামের ছাদের শেষ বিম বসানো হয়েছে, যা নির্মাণে বড় এক অগ্রগতি।

মেসি বলেন, ‘আমি এখানে খুব সুখী, তাই এখানেই থাকতে পেরে খুশি। নতুন স্টেডিয়ামটা শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছি, ওখানে খেলতে মুখিয়ে আছি।’

এদিকে ইন্টার মায়ামি আসন্ন শনিবার ন্যাশভিল এসসির বিপক্ষে রাউন্ড–১ প্লেঅফ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে নামবে, তাদের বর্তমান ঘর চেজ স্টেডিয়ামে।


   আরও সংবাদ