ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৪ বার
বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা বড় বিনিয়োগে ঝুঁকি তৈরি করছে। সেই সঙ্গে ভোগান্তির নতুন নাম হিসেবে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতি।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ‘বাংলাদেশ–কোরিয়া ভবিষ্যৎ সম্পর্ক’ নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে অর্থনীতিবিদ ও কূটনীতিকরা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নীতি গ্রহণে দেরি না করে বরং সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা করতে হবে বলে জোর দেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, টেকসই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাই একমাত্র সমাধান। জাতীয় স্বার্থকে আগে নিরাপদ করতে হবে বলেও তারা মন্তব্য করেন।
সেমিনারে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, এলডিসি-পরবর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহজ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া ২০২৬ সালের আগেই অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি করতে চায়। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বছরে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশের সামনে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক সংকট, জাতীয়তাবাদের উত্থান এবং দক্ষিণ এশিয়া ঘিরে উত্তেজনা। তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চলে রয়েছে পরাশক্তিদের প্রভাবের খেলা। পাশাপাশি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংকটের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে। সে কারণে টেকসই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাই একমাত্র সমাধান। এ ক্ষেত্রে আগে আমাদের জাতীয় স্বার্থকে নিরাপদ করতে হবে।
অর্থনীতিবিদ সেলিম রায়হান বলেন, নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ব্যবসায়িক সংকট বাড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মার্কিন শুল্কনীতি, যা পুরো বিশ্বকে ভোগান্তিতে ফেলছে।
অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসি বলেন, সেমিকন্ডাক্টর খাতে কোরিয়া ও বাংলাদেশ একসাথে কাজ করতে পারে। এটি পাবলিক–প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে করা সম্ভব, যেহেতু বাংলাদেশে প্রচুর ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ–কোরিয়া প্রতিরক্ষা খাতেও সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন এশিয়া ফাউন্ডেশনের দক্ষিণ কোরিয়ার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. সং কুয়ানজিন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।