ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১০:০২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৩ বার
ছাইদুল ইসলাম, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর ধামইরহাটে সরকারি নির্দেশনায় ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদ এবং এসব ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে
ধামইরহাট ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি ও শ্রমিকদের আয়োজনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে নওগাঁ-জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর বাংলাদেশ
ইট প্রস্তুতকারী ধামইরহাট উপজেলা শাখার মালিক সমিতির সভাপতি দেওয়ান ওয়াজেদ আলীর সভাপতিত্বে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনের এক পর্যায়ে ১৩টি ইটভাটার মালিক–শ্রমিক মিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে প্রায় দুই হাজার ভুক্তভোগী শ্রমিক ও মালিকেরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে আগত বক্তারা জানান, ইট ভাটার মালিকেরা শ্রমিকদের অগ্রিম হিসেবে বড় অঙ্কের টাকা ছয় মাস আগে প্রদান করেছেন। এ সময় ইটভাটাগুলো বন্ধ করলে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়বেন ভাটার মালিক ও শ্রমিকেরা। এতেকরে কয়েক হাজার শ্রমিক ও মালিকদের জীবন জীবিকা ব্যাহত হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী ধামইরহাট উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আখরাজুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলায় ১৩টি ইটভাটায় প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এসব ইটভাটা প্রায় ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে চলমান।
তিনি এও বলেন,`সেই সময় থেকে এ পর্যন্ত কাস্টমস ভ্যাট, আয়কর, বাণিজ্যিক হারে জমির খাজনা, বিএসটিআই, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, শ্রম অধিদপ্তর লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স বাবদ প্রতিবছর ৫০ লাখ টাকা অগ্রিম রাজস্ব দিয়ে আসছে। ইটভাটা পরিচালনার অন্যান্য খাতের জন্য ব্যাংকঋণ বা দায়দেনা করেছে মালিকেরা।’
ইটভাটার শ্রমিক সোহেল বলেন, বাড়িতে পাঠানো আমার টাকা দিয়ে ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করে এবং সংসার চলে। তাছাড়া গত সপ্তাহে মা বারবার তাগিদ দিচ্ছেন, কিস্তির জন্য টাকা লাগবে। আর এদিকে ৮ থেকে ১০ দিন ইটভাটা বন্ধ থাকায় কর্মহীন অবস্থায় বসে আছি। এ অবস্থায় কি করব বুঝে উঠতে পারছি না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান বলেন, ’ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনে যাদের লাইসেন্স নেই, অবৈধভাবে ইট পুড়িয়ে যারা ব্যবসা করছেন তাঁদেরকে মৌখিকভাবে নিষেধ করা হয়েছে। যাতে আমাদের আইন প্রয়োগ করতে না হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতবছর অনেক জায়গায় ইট পোড়াকালীন সময় অনেক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেতে হয়েছে, ভাটার চিমনি ভাঙতে হয়েছে। ওই সময় ব্যবসায়ীরা অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ কারণে ইট পোড়ানো শুরুর আগেই আমরা তাঁদেরকে সতর্ক করেছি যে যাদের লাইসেন্স নেই তাঁরা যেন এই কাজে না যুক্ত হন।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী ধামইরহাট উপজেলা শাখার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব রুহুল আমিন, সদস্য আবদুল মালেক, আবু সাঈদ, আব্দুর কাদেরসহ বিভিন্ন ইটভাটার শ্রমিকেরা।